নিউজনাউ ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লড়াই করছি দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। দেশের মানুষ সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে জানে। নির্বাচন হবে নিশ্চয়। কিন্তু সেটি যেন নিদর্লীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সেই দাবি আদায় করতে হবে। দরকার হলে রাজপথে নামতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকট: উত্তরণ প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সবায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এ সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ডাইভারশন খুব ভালো জানে। দৃষ্টি ফেরাতে সবসময় অন্য কিছু করে। সীমাহীন লোডশেডিং থেকে এখন দৃষ্টি সরাতে হবে। তাই আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যরা এখন সংলাপের বক্তব্য সামনে এনেছেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই। পদক্ষেপ নেন, তত্ত্ববধায়ক সরকার দেন। পরে দেখা যাবে কী করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, লড়াই করছি দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। দেশের মানুষ সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে জানে। নির্বাচন হবে নিশ্চয়। কিন্তু সেটি যেন নিদর্লীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সেই দাবি আদায় করতে হবে। দরকার হলে রাজপথে নামতে হবে।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করছে, এখন কেন এ অবস্থা? সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে। টাকাগুলো গেলো কোথায়? অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের টাকা নেই, ডলারও নেই। এজন্য মহাসংকট তৈরি হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, মানুষ যা চায়, আওয়ামী লীগ তার উল্টো কাজ করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না। ভাষা প্রকাশ, মতপ্রকাশে তারা উগ্র। তারা নিজেরা নিজেরা লড়াই করেন, তাদের কোনো কিছুই গণতান্ত্রিক না। বিএনপি এ ধ্বংসাত্মক মতবাদে বিশ্বাসী না। সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকায় আজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংকট উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে। তখন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছিলেন, ‘আজকে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চিরস্থায়ী সংকট, সংঘাত শুরু হলো।’ সেটাই হয়েছে এবং চলছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে যেভাবে জাতীয়বাদী শক্তির উন্মেষ হচ্ছে, একনায়কতন্ত্রের স্বৈরাচার টিকবে না। শেখ হাসিনার দুঃশাসন আর থাকবে না।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সহ-তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, বিকল্পধারা একাংশের সভাপতি নুরুল আমীন প্রমুখ।
নিউজনাউ/কেআই/২০২৩