নিউজনাউ ডেস্ক: পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) সাধারণ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে। তারা জানায়, যদি ১২ আগস্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে জাতীয় এবং দুটি প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়া না হয় তবে ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে ইসিপি সচিব ওমর হামিদ খান ও বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল হুসেইন বলেন, নির্বাচন ৬০ বা ৯০ দিনের মধ্যে করতে ইসিপি পুরোপুরি প্রস্তুত।
জাফর ইকবাল হুসেইন বলেন, ‘জেলা রিটার্নিং অফিসার (ডিআরও) এবং রিটার্নিং অফিসার (আরও) হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অব্যাহতি দিতে বিচার বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যালট পেপারের জন্য ওয়াটারমার্ক পেপার সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সামগ্রীও সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের তথ্য প্রস্তুত করার পাশাপাশি ব্যালট পেপার ও মনোনয়নপত্র ছাপার জন্য প্রেসের সাথে সমন্বয় সম্পন্ন করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি নির্বাচনি মহড়ার আগে নির্বাচনি এলাকার নতুন সীমানা নির্ধারণের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘আগের আদমশুমারি ও সীমানা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্টের অনুমোদিত নির্বাচনি সংস্কারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনি প্রার্থীদের আইনে নির্ধারিত ব্যয়ের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হুসেইন বলেন, ‘একটি মনিটরিং মেকানিজমের মাধ্যমে যারা আইন লঙ্ঘন করছে তাদের ওপর নজরদারি করা হবে।’
ইসিপি সচিব ওমর হামিদ খান নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘কালো টাকা কয়েক দশক ধরে আমাদের ব্যবস্থাকে জর্জরিত করছে। তবে রাতারাতি সংশোধন করা সম্ভব নয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কর আইনের উন্নতি করা দরকার।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-কে (পিটিআই) নির্বাচনি প্রতীক বরাদ্দ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নিউজনাউ/জব/২০২৩