নিউজনাউ ডেস্ক: ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকার ম্যাচে বাংলাদেশ ম্যাচ শেষ করে টাই দিয়ে। জেতা ম্যাচ হাত ফসকে যাওয়ায় আম্পায়ারের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত। ম্যাচ শেষে তীর্যক মন্তব্য করে উত্তাপ ছড়িয়েছেন মাঠে। জানিয়েছেন, এমন আম্পায়ারিংয়ে বিস্মিত তিনি।
ঘটনার শুরু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ইয়াস্তিকা ভাটিয়া এলবিডব্লিউ আউট হলে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানাতে জানাতে তিনি ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। এরপরের ঘটনা ছিল আরও বেশি অস্বস্তির। নাহিদা আক্তারের বলে আম্পায়ারের কট আউটের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি হারমানপ্রিত। সাথে সাথে ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেন তিনি।
শেষ ব্যাটার হিসেবে মেঘলার কট আউটের সিদ্ধান্তও মেনে নিতে পারেনি ভারত। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখে কোনোটিকেই ‘নট আউট মনে হয়নি’। ভারতের ক্ষোভ ড্রেসিংরুম ছাপিয়ে চলে আসে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলন কক্ষেও।
হারমানপ্রীতের এমন ক্ষুব্ধ আচরণ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কাছে। ভারতীয় অধিনায়কের কথার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। জ্যোতি জানিয়েছেন, হারমানপ্রীত কথাটা আরেকটু ভালোভাবে বলতে পারতেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমি এটা পুরোপুরি বলব, ও (হারমানপ্রীত) যেটা বলেছে সেটা ওরই। সেটা আমাদের কোনো কিছু না। আমার মনে হয়, ক্রিকেটার হিসেবে ও আরেকটু ভালোভাবে বলতে পারত। যেটা আমার কাছে মনে হয়, ও যা করেছে সেটা ওর ব্যাপার। এটা নিয়ে আমার কথা বলা উচিত হবে না।’
আম্পায়ার নিয়ে ম্যাচ শেষে হারমানপ্রীত বলেছেন, ‘আমি মনে করি, অনেক কিছু শেখার ছিল এই ম্যাচ থেকে, ক্রিকেট ছাড়াও। যে মানের আম্পায়ারিং হয়েছে তাতে আমরা খুবই বিস্মিত। কিন্তু...আমরা সামনে যখন বাংলাদেশে আসব, নিশ্চিত করে আসতে হবে—এই ধরনের আম্পায়ারিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে। ঠিক সেভাবেই আমাদের খেলতে হবে।’
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাঁক বদলের গল্প ছিল। স্মৃতি মান্ধানার ক্যাচ মিসের পর ম্যাচ ভারতের অনুকূলে ছিল। কিন্তু ৪০ ওভারের পরে ভারতের দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। দশম উইকেটে ভারতের যখন জয়ের জন্য ৯ রান দরকার, ১১ নম্বরে নামা মেঘনা সিং ৪ মেরে ম্যাচটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তোলেন। কিন্তু ৪৯ ওভারের দ্বিতীয় বলে জেমিমা রদ্রিগেজ ১ রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করলেও তৃতীয় বলে মেঘনাকে ফিরিয়ে ম্যাচ টাই করে জ্যোতিরা। এতে করে সিরিজ ড্র হয় ১-১ ব্যবধানে।
নিউজনাউ/এইচকে/পিপিএন/২০২৩