alo
ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ফের রপ্তানি চালু করতে তৎপর ইউক্রেন, ৬০ হাজার টন শস্য নষ্ট

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই, ২০২৩, ১১:০৯ এএম

ফের রপ্তানি চালু করতে তৎপর ইউক্রেন, ৬০ হাজার টন শস্য নষ্ট

নিউজনাউ ডেস্ক: ফের কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি শুরু করতে তৎপরতা শুরু করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন জানিয়েছে, রপ্তানি না হওয়ায় ইতোমধ্যে ৬০ হাজার মেট্রিক টন শস্য নষ্ট হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার (২২ জুলাই) ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গের সাথে কথা বলেছেন। একদিন আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা করেন।  

তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় করা ওই চুক্তির মেয়াদ সোমবার শেষ হয়েছে। ওই চুক্তি এতোদিন ইউক্রেনীয় বন্দরগুলি থেকে কৃষ্ণ সাগর করিডোর দিয়ে শস্য এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে নিরাপদে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দিয়েছিল। তবে রাশিয়া নতুন করে ওই চুক্তি নবায়ন করেনি। 

জেলেনস্কি বলেন, তিনি এবং স্টলটেনবার্গ কৃষ্ণ সাগরের শস্য করিডোর অবরোধমুক্ত করা এবং টেকসই কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করেছেন।

জেলেনস্কি শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সাথেও শস্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন। 

জেলেনস্কি বলেন, 'আমরা ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের অপারেশন পুনরায় চালু করার প্রচেষ্টাকে সমন্বিত করেছি। রাশিয়ার পদক্ষেপের কারণে, বিশ্ব আবারও খাদ্য সংকটের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আফ্রিকা ও এশিয়ার অনেক দেশে প্রায় ৪০ কোটি মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে।'

শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে মস্কো কৃষ্ণ সাগরের বিশাল এলাকাকে জাহাজ চলাচলের জন্য বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে। ওই এলাকা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে।

মস্কো সতর্ক করে বলেছে যে, রাশিয়া ধরে নেবে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে অতিক্রমকারী জাহাজগুলো ইউক্রেনের অস্ত্র বহন করছে। পাল্টা বক্তব্য দিয়ে ইউক্রেন জানিয়েছে যে, রাশিয়ার বন্দরের দিকে যেসব জাহাজ যাবে, সেগুলোকে অস্ত্র বহনকারী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

শিপিং বীমা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কৃষ্ণ সাগর এলাকা থেকে শস্য বোঝাই জাহাজের সংখ্যা ৩৫% কমে গেছে। রাশিয়া বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাতে পারে এমন শঙ্কায় ওই রুট দিয়ে সব ধরনের জাহাজ চলাচল স্থগিত করেছে সংস্থাটি।
তবে, ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু জাহাজ মালিক এখনও ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে শস্য রপ্তানিতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

বিশ্বের বাণিজ্যিক বহরের ৮০% প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ শিপিংয়ের পরিবেশ এবং বাণিজ্যের সিনিয়র ম্যানেজার জন স্টপার্ট বলেন, 'পূর্বে এই ধরনের ঝুঁকির মুখে শিপিং সবসময়ই খুব স্বাভাবিক ছিল।'

তিনি বলেন, কৃষ্ণ সাগর পাড়ি দেওয়া জাহাজগুলো মাইনের সম্মুখীন হতে পারে এবং বন্দরগুলোতেও একই রকম ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া রাশিয়ার হামলার শিকারও হতে পারে। এটি ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।

জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বীমাকারীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ মেরিন ইন্স্যুরেন্স বলছে, 'এটি অসম্ভব যে আন্ডাররাইটাররা সেই ঝুঁকিটি পুষিয়ে নিতে চাইবে।'

ইউএসএইড এর উপ-প্রশাসক ইসোবেল কোলম্যান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাটি পোল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশের পাশাপাশি দানিউব নদীর মধ্য দিয়ে বিকল্প পথ দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিতে সহায়তা করছে।


নিউজনাউ/জব/২০২৩ 

X