নিউজনাউ ডেস্ক: কম্বোডিয়ার সপ্তম জাতীয় নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষিত না হলেও প্রধান বিরোধী দলকে বাইরে রেখে করা এই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কম্বোডিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেন আশা প্রকাশ করেছেন, তাঁর দল সিপিপি আজ রোববার হয়ে যাওয়া নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। তবে বিরোধীরা এই নির্বাচনকে দেশটির বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম অবাধ, কম সুষ্ঠু এবং একতরফা নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে।
১ কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার দেশ কম্বোডিয়া প্রায় ৯৭ লাখ মানুষই ভোট দেওয়ার যোগ্য। রোববার সকাল ৭টার দিকে দেশটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সারা দিন ভোট হলেও আশানুরূপ ভোটারের দেখা মেলেনি ভোটিং বুথগুলোতে।
নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) ছাড়াও আরও মোট ১৭টি দল অংশগ্রহণ করেছে। তবে প্রধান বিরোধী দল ‘ক্যান্ডেল লাইট পার্টিকে’ নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য করায় এবারের নির্বাচনকে প্রহসন বলছেন বিরোধীরা। এমনকি সাধারণ জনগণও এই নির্বাচনে ভোট দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন।
ভোট দিতে অস্বীকার করে সোভানি নামে এক কম্বোডীয় বলেন, ‘আমি ভোটই দেব না। কেন আমি ভোট দিতে যাব, যেখানে নির্বাচনে একটিমাত্র দলই অংশ নিয়েছে? ভোট দিতে যাওয়া তো স্রেফ সময়ের অপচয়।’ সোভানি বলেন, ‘খেলার মাঠে অন্তত দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রয়োজন।’ কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী একজন হলে সেই খেলার আর কোনো অর্থ থাকে...—প্রশ্ন সোভানির।
কম্বোডিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বিগত ৩৮ বছর ধরে ক্ষমতায়। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকা প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এবারের নির্বাচনে তাঁর দল দেশটির পার্লামেন্টের ১২৫টি আসনের মধ্যে সব কটিতেই জয় লাভ করবে।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, হুন সেন এই নির্বাচন শেষে নিজে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে পারেন। তাঁর জায়গায় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাঁর ছেলে এবং দেশটির বর্তমান সেনাপ্রধান হুন মানেত।
নিউজনাউ/এমএইচ/২০২৩