alo
ঢাকা, মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এক বছর পর মিললো জীবন্ত পুঁতে রাখা এক ব্যক্তির কঙ্কাল

প্রকাশিত: ২১ জুলাই, ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম

এক বছর পর মিললো জীবন্ত পুঁতে রাখা এক ব্যক্তির কঙ্কাল

নিউজনাউ ডেস্ক: সৎ ভাইদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এক বছর আগে ‘জীবন্ত পুঁতে ফেলা’ আলমগীর হোসেনের (৪৫) দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউপির পশ্চিম রামদেব গ্রাম থেকে আলমগীর হোসেন নামে ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয় বলে কালীগঞ্জ থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান। 

পুলিশ বলছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন তারই দুই সৎ ভাই।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্যে মাটি খুঁড়ে আলমগীরের হাড়গোর উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সেগুলো কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার সেগুলো লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

তদন্তের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের সিরাজুল মার্কেট এলাকার আলমগীরের মায়ের জমি দখল করে ভোগ করছিল তারই সৎ ভাই খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার। এ নিয়ে বিরোধের জেরেই তারা আলমগীরকে ‘মেরে ফেলার পরিকল্পনা’ করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় আলমগীরকে ডেকে নিয়ে আদিতমারীর পশ্চিম রামদেব গ্রামে নিয়ে যান খেলান ও সাত্তার। তাদের সাথে সাত্তারের ভায়রা (শ্যালিকার স্বামী) পাবনার রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ ড্রাইভারও ছিলেন।

এরপর আলমগীরকে পশ্চিম রামদেব গ্রামের আশরাফ আলী ও সেকেন্দার আলীর হাতে তুলে দেন তারা। সেখানে আলমগীরকে কোমল পানীয়র সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরে আলমগীর ঘুমিয়ে পড়লে আশরাফ ও সেকেন্দার আলীর বাড়ির পিছনে একটি বাঁশ ঝাড়ে তাকে পুঁতে ফেলা হয়।

এদিকে আলমগীরের খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা কালীগঞ্জ থানায় জিডি করেন। পরে খেলান উদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার মারা যান।

সম্প্রতি সাত্তারের ভায়রা রাশেদুল ফোন করে আলমগীরের পরিবারের কাছে ওই হত্যার ঘটনা প্রকাশ করে দেন। পরে আলমগীরের ভাই সাদ্দাম হোসেন লালমনিরহাটের আদালতে একটি মামলা করেন।

তদন্তে নেমে ঘটনার সত্যতাও পায় পুলিশ; পরে রাশেদুল এবং আদিতমারীর রামদেবের আশরাফ ও সেকেন্দার আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরুজ্জামান জানান।

তাদের দেওয়া তথ্যেই বৃহস্পতিবার বাঁশ ঝাড়ের গর্ত খুড়ে আলমগীরের মরদেহের হাড়গোর উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আদিতমারী থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, “আটকদের দেওয়া তথ্যমতে গর্ত ‍খুঁড়ে মৃত ব্যক্তির কঙ্কাল (হাড়গোর) উদ্ধার করা হয়েছে।”


নিউজনাউ/জব/২০২৩ 
 

X